পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের জনদুর্ভোগ খ্যাত সেই এক কিলোমিটার পাকা রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন । দীর্ঘদিন পরে হলেও রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় রিনা কনস্ট্রাকশন এর সত্তাধীকারী মোঃ সোহরাপ হোসেন ও এল,জি ইডির জেলা প্রকৌশলী মো আবদুস সত্তার সাহেবের প্রতি এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছনে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত পাঁচ থেকে সাত বৎসর আগেই এ-ই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন ছিল কিন্তু তদারকির অভাবে রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিনত হয়। মিডিয়ায় রাস্তা টির চিত্র প্রকাশিত হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরে আসে। গত ৫ জুন রাতে পটুয়াখালী জেলা এল.জি.ই.ডি প্রধান প্রকৌশলী নিজেএসে রাস্তাটি পরিদর্শন করেন
জানা যায়, এ রাস্তা দিয়ে ইউনিয়নের সলিমপুর, নবীপুর, নিচকাটা, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফতেহপুর এ ৫ টি গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা তালতলির কয়েক হাজার লোক প্রতিদিন এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা শহর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খুব নিকটবর্তী হওয়ায় এ রাস্তাটির অত্যান্ত গুরুত্ব রয়েছে। যা দীর্ঘদিন বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় বিগত কয়েকটি বছর যাবৎ চলাচল অনুপযোগী ও খানাখন্দে পরিণত হয়ে বর্ষার সময় হাঁটু পানি জমে থাকত। পরে জেলা প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার সরেজমিনে পরিদর্শনের ৫ দিনের মাথায় সরাসরি তার হস্তক্ষেপের কারণে ১০ ই জুন সকালে রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু হয়।কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারনে সংস্কার কাজ স্থগিত রাখা হয়। গত ১৫ ই অক্টোবর কাজটি পুনরায় শুরু করে ২৬ শে অক্টোবর সংস্কার কাজ সম্পন্য করা হয়।
এল,জি ইডি উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী জনাব দেলোয়ার হোসেনের সাথে সরেজমিনে কথা হলে তিনি বলেন কাজের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষনিক আমি উপস্থিত থেকে কাজ সম্পন্ন করেছি। কাজের মানে যেন কোন ধরনের ত্রুটি না হয় এ ব্যাপারে আমি রিনা কন্সটার্কসনের সত্তাধিকারী কে সার্বক্ষনিক নির্দেশ দিয়ে সফল ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোহর আলী বলেন, কাজের মান শত ভাগ ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষনিক আমার উপসহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে ছিল এবং আমি নিজে সরেজমিনে তদারকি করে কাজ সম্পন্ন করেছি। কাজের মান ভাল হওয়ায় রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।